শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

স্বামীর খোঁজে মুন্নি, ডিএনএ নমুনা দিতে লাইনে শিশু মারিয়া

SONALISOMOY.COM
জুন ৬, ২০২২
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেকের সন্ধান মেলেনি। তাদের মধ্যে একজন মো. রুবেল (২৬)। তার মরদেহ শনাক্ত করতে তিন বছরের শিশু মারিয়া আকতারকে নিয়ে ডিএনএ নমুনা দিতে হাসপাতালে এসেছেন স্ত্রী মুন্নি আকতার।

সোমবার (৬ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডিএনএ নমুনা দিতে এসে মুন্নি বলেন, পাঁচ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। আমার তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আমার স্বামীর নিঁখোজ। সে মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে কেউ বলতে পারছে না। তাই তাই আমি ও আমার মেয়ে ডিএনএ নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছি।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, নিহতের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও ১৯ জনের লাশ মর্গে আছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

তবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লেগে যেতে পারে। ততদিন এসব লাশ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হবে। শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এরপর আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়েছে।