আ.লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহকে শোকজ করা হয়েছে, যিনি ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনাকারী কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।
বুধবার ফরিদপুর-৪ অঞ্চলের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী কাজী জাফর উল্যাহকে শোকজের নোটিশ পাঠান। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে ফরিদপুর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, জাফর উল্যাহ ১৩ ডিসেম্বর বুধবার ভাঙ্গা উপজেলার শেখপুরা বাজারে মাইক ব্যবহার করে গণসংযোগ ও পথসভা করে নির্বাচনী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই লিংকটি পর্যালোচনায় পরিলক্ষিত হয়েছে, জাফর উল্যাহ শেখপুরা বাজারে আগত সর্বসাধারণ, ব্যবসায়ীবৃন্দ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়কালে একটি সভায় যোগদান করেন।সেখানে বক্তব্য প্রদানকালে জাফর উল্যাহ বলেছেন, ‘এমপি তো যে আছে সে আমাদের এলাকার না। সে হলো মাদারীপুর থেকে শিবচরের।
সেই আসছে এখানে বালি কাটতে, সে আসছে টাকা বানাতে, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তেন করতে কি সে আসছে? সে বলে কাজী জাফর উল্যাহ একটা চোর। সে বলে যে আমি ফকিরের গোষ্ঠীর লোক। ফকিন্নির ছেলে। আপনারা বুঝতে পারছেন যে, আমারে যদি একথা কয়, কাজী মাহাবুল্লাহরে যদি এই কথা কয় তাহলে আপনাদের কী অবস্থা করবে? তার যে কতটা হিংসা, বিদ্বেষ।’
নোটিশে কাজী জাফর উল্যাহকে বলা হয়, ‘আপনার এমন বক্তব্য সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক) এব পরিপন্থি। একইসঙ্গে, আপনি উক্ত সত্তা সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ ও স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে সভায় অংশ গ্রহণ করে উক্ত বিধিমালার বিধি ৬(খ) ও ৬(গ) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।’নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আপনি (জাফর উল্যাহ) ওই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে উল্লেখ করেছেন যে, ইনশাআল্লাহ এবার আমরা প্রমাণ করে দেবো এই এলাকার মানুষ নৌকাকে ভালোবাসে।নৌকা প্রতীককে ভোট দেবে। কাজী জাফর উল্লাহকে ভোট দেবে।’ যা ওই বিধিমালার বিধি ১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কাজী জাফর উল্যাহ সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক), ৬(খ) ও ৬(গ) এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করায় নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন প্রেরণ করা হবে না সেই মর্মে ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ফরিদপুরে কাজী জাফর উল্যাহকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।