শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ দিচ্ছে আরইবি, তীব্র লোডশেডিংয়ে আশুলিয়া

SONALISOMOY.COM
মে ২, ২০২৫
news-image

আশুলিয়াসহ আশেপাশের এলাকায় চলছে তীব্র লোডশেডিং। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ সংকটেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ভোগাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। জানা যায়, ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। যার প্রভাবে আশেপাশের এলাকায় প্রকট আকার ধারণ করছে লোডশেডিং।

গ্যাস না থাকায় ডিইপিজেডে বিদুৎ সরবরাহ করতে পারছে না ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। গত ২৮ এপ্রিল গ্যাসের বিল বকেয়া নিয়ে জটিলতায় তাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস। এতে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ইপিজেডের ৯০ টি কারখানার। ওইদিন জেনারেটর সহায়তায় কিছু কারখানা উৎপাদন চালু রাখে। রাতেই নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে ইপিজেডের অভ্যন্তরীণ সড়ক বাতি গুলো জ্বালানো হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহযোগিতায় কিছু কারখানা চালু রাখা সম্ভব হয়। তবে এ কারণে চাপ পড়ছে পল্লী বিদ্যুতেও। স্থানীয় এলাকায় বাড়ছে লোডশেডিং। আশুলিয়ার বাইপাইল, কাইচাবাড়ি সহ ডিইপিজেডের আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং চলছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগীদের দাবি সোমবার থেকে লোড শেডিং সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আখতারুজ্জামান লস্কর বলেন,  ‘ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর চাহিদা আছে ৪৮০ মেগাওয়াটের কিন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ৮০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট কম। এটা পুষিয়ে নিতেই লোড শেডিং করতে হয়। ঢাকা ইপিজেড এর আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেবল ইপিজেড এর আশেপাশের এলাকাতেই লোডশেডিং বেড়েছে বিষয়টা তা না। আমরা সমন্বয় করে সব এলাকা থেকেই ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছি।’

এ ব্যাপারে ইউনাইটেড গ্রুপের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শামীম মিয়া বলেন, ‘একমাত্র ডিইপিজেডের জন্যই ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হয়েছে সেখানে। ডিইপিজেডের কারখানাগুলো সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এতগুলো কারখানা সচল রাখার মত ব্যবস্থা করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিতাসের সাথে আমাদের কোনো বকেয়া বিল নেই। গত ১৬/১৭ বছর আমাদের অপারেশনে একবারও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেনি। ইপিজেডকে যাবতীয় সব সাপোর্ট দিয়েছে ইউনাইটেড। লাইন কাটার ব্যাপারে আমাদের পূর্বে নোটিসও দেওয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী তিতাসের কাছে আমাদের কোনো বকেয়া নেই। সব পরিশোধ করা আছে।’