‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা খাতে আরও ব্যয় করতে হবে’
গভর্নর বলেন, ‘দেশের সব ব্যাংকই করপোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) খাতে ব্যয় করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ আছে প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএসআর খাতের মোট অর্থের ৩০ ভাগ শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে। ২০১৫ সালে সিএসআর খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৫২৮ কোটি টাকা ব্যয় করে, এর মধ্যে ৩০ ভাগ অর্থাৎ ১৫৮ কোটি টাকা শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হয়। যারা এ থেকে পিছিয়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফজলে কবির বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিক্ষাখাতে বেশি ব্যয় করতে পারে এজন্য কর রেয়াতের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বসা হবে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে।’ এক শিক্ষার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি পাচ্ছে, আবার অনেকে বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য; কিন্তু তারা পাচ্ছে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষাবৃত্তি ডাটাবেজ করে বৃত্তি প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম।
অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, ‘তোমরা কেউ ঘুষ খাবে না। ঘুষ সামাজিক ব্যাধি, তোমরা যারা বৃত্তি পেয়েছ তারা মেধার বলে পেয়েছ। এ মেধাকে সত্যের পথে পরিচালিত করবে। তাহলে দেশ একদিন দুর্নীতি মুক্ত হবে।’ অনুষ্ঠানে ৬৬ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রত্যেকে শিক্ষার্থী বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে বৃত্তি পাবে।