শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নামিবিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬

bd19_newsshomoy
স্পোর্টস ডেস্ক: যুব বিশ্বকাপে চমকের নাম নেপাল ও নামিবিয়া। নেপাল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করেছে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে। আর চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটের টিকিট পকেটে পুরেছে নাবিমিয়া। এরপর নেপাল ও নামিবিয়া দুই দলের সামনে গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াই। ‘ডি’ গ্রুপে সেই লড়াইয়ে ইতিমধ্যে ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে নেপাল। তাই দ্বিতীয় স্থানে থেকেই পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে তারা।

অপরদিকে চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে নামিবিয়ার পা যেন মাটিতে পড়ছিল না। নামিবিয়া কোচ রাঙ্গারিরাই মানিয়ান্ডে যেমন হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন, বাংলাদেশকেও তারা হারিয়ে দিতে পারে। সেই হুমকি-ধুমকি টিকল কোথায়? উল্টো বাংলাদেশের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়েছে নামিবিয়া। মঙ্গলবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মিরাজদের কাছে তারা হেরে গেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

মাত্র ১৬ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগিতকরা। নামিবিয়াকে ক্রিকেটের ধারাপাত শিখিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। আগামী ৫ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।

মাত্র ৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশও যেন নামিবয়ার পথেই হাঁটতে শুরু করে। দলের স্কোরশিটে কোনো রান যোগ না হতেই ফিরিত গোয়েৎজের শিকার হয়ে ওপেনার পিনাক ঘোষকে (০) হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। এই বিপদসীমা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দলীয় ১৩ রানে সাজঘরের পথ বেছে নেন সাইফ হাসান। বাংলাদেশের এই ওপেনারও পরাস্ত হয়েছেন সেই গোয়েৎজের বলে। সাইফ হাসানের উড়িয়ে মারা বলটি তালুবন্দি করেন নামিবিয়ার জেনি গ্রিন।

এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জয়রাজ শেখ (৩৪) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১৪)।

এর আগে নামিবিয়ার ইনিংসের শুরুটা হয় খুব সাবধানেই। কিন্তু সাইফুদ্দিন-শাওন-মিরাজদের বোলিং তোপে সেই সাবধানী প্রাচীর বেশিক্ষণ টিকেনি। ভেঙে গেছে সাইফুদ্দিনের আঘাতে। নামিবিয়ার দলের স্কোরশিটে ৬ রান যোগ হতেই ওপেনার লোফটি ইটনকে সাজঘরের পথ দেখান সাইফুদ্দিন। এটনকে শান্তর ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি।

দলীয় ১০ রানের মাথায় গ্রিন ফিরে যান রানআউটের শিকার হয়ে। জাকির হাসানের অসাধারণ থ্রুতে কাটা পড়েন গ্রিন। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় শাওন গাজীর মায়াবি স্পিনে পরাস্ত হন নামিবিয়ার আরেক ওপেনার নিকো ডেভিন। দুই প্রান্তে স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় উইকেটের ধাক্কা সামলাতে না চতুর্থ বারের মতো আঘাত হানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। লিঙ্গেনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।

শাওনের দ্বিতীয় শিকার লিন্ডে ফেরেন দলীয় ৫১ রানের মাথায়। ব্যক্তিগত ৪ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক মিরাজ নিজেকে সরিয়া আরিফের হাতে বল দেন। প্রথম ওভারেই লরেন্সকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। ৫৯ রানে নামিবিয়ার নেই ৬ উইকেট।

রানের চাকা ৫৯-এর রেখেই সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। ব্রিটসকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আরেক স্পিনার সাঈদ সরকার। এরপর ৬১ রানে ৮, ৬৪ রানে ৯ ও ৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নামিবিয়া।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট দখলে নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, সালেহ আহমেদ শাওন, আরিফুল ইসলাম। আজ ২ উইকেট নিয়ে যুব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়েছেন মিরাজ। এ ছাড়া সাইফউদ্দিন ও সাঈদও নিয়েছেন একটি করে উইকেট।