শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সাকিব-সিমন্সের ব্যাটে চড়ে করাচির জয়!

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথমে আমিরের হ্যাটট্রিক, পরে সাকিব আল হাসান ও লেন্ডল সিমন্সের জোড়া ফিফটি। সব মিলিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে দুরুন্ত সূচনা করেছে করাচি কিংস। শুক্রবার দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সকে সাত উইকেটে পরাজিত করেছে করাচি কিংস।

আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ ‍উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করে লাহোর। জবাবে সাকিব-সিমন্সের ব্যাটে চড়ে করাচি জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় তিন উইকেটে ২৫ বল হাতে রেখেই। ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তবে ব্যাট-বলে সমান দ্যুতি ছড়ানোয় হ্যাট্রিকম্যান আমির ও সিমন্সকে পেছনে ফেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।1909963_587099174773325_4875561131786267747_n 12647195_587108978105678_7529957507719691439_n

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বাজেই ছিল করাচির। দলীয় এক রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার নাওমান আনোয়ার। শূন্য রানে তিনি জিয়া উল হকের শিকার। চার রানের মাথায় আউট হয়ে যান সাত বলে তিন রান করা ভিন্স। চার রানে দুই উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো কাঁপছে করাচি। তবে এমন অবস্থায় দলকে পথ দেখান বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্স।

তৃতীয় এই জুটিই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় প্রায়। তৃতীয় এই জুটি থেকে আসে ১০৯ রান। এর মধ্যে ৩২ বলে ফিফটি পূর্ন করেন সাকিব। পরে আর বেশীদূর আগাতে পারেননি। ৩৫ বলে ৫১ রান করে ডেলপোর্টের বলে কুপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। দারুণ এই ইনিংসে সাকিব হাঁকান সমান তিনটি করে ছক্কা ও চার। এরপর অধিনায়ক শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওপেনার সিমন্স। ৪৬ বলে ৬২ রানে সিমন্স ও সাত বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল লাহোর কালান্দার্স। জ্বলে উঠতে পারেননি ক্যারিবীয় হার্ড হিটার ওপেনার গেইল। চার বলে মাত্র ছয় রান করেই ফেরেন সাজঘরে। দলের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। এছাড়া শোয়েব মাকুসদ ২২, অধিনায়ক আজহার আলী ১৮, ডেলপোর্ট ১৭, ব্রাভো করেন ১৪ রান। বাকিদের মধ্যে কেউই দুই অংকের রান স্পর্শ করতে পারেননি।

তবে বল হাতে করাচির হয়ে চমক দেখান মোহাম্মদ আমির। প্রথম তিন ওভার বোলিং করলেও উইকেট পাননি। তবে নিজের চতুর্থ ও ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে হ্যাটট্রিকই করে ফেলেন তিনি। ১৮.২ ওভারে বোল্ড করেন ডুয়াইন ব্রাভোকে। পরের বলে জোহাইব খানকে সাইফু্ল্লার হাতে ক্যাচ বানান। ১৮.৪ ওভারে কুপারকে এলবিডব্লিউ করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফেরা আমির। করাচির হয়ে চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। শোয়েব মালিক, সোহেল তানভির ও ইমাদ ওয়াসিমও নেন একটি করে উইকেট।