শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দেখুন সত্যিকার জ্বীনদের, এবং জ্বীনদের নাম, পরিচয় ও তাদের কাজ!

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬

নিউজ ডেস্ক: 

আমার জানামতে মানব জাতী সৃষ্টির পূর্ব থেকেই জ্বীন জাতী সৃষ্টি হয়েছে এবং এখনও এরা বিদ্যমান কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পাইনা। পবিত্র কুরআন এবং বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমানিত জ্বীন জাতী মানুষকে উপকারও করে আবার ক্ষতিও করে কিন্তু এরা কোথায় বসবাস করে সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। বয়বৃদ্ধদের মুখে শোনা যায় আগে বিভিন্ন লোককে পরীরা নিয়ে যেত পরিস্থানে।
আসলে পরিস্থান বলতে কি কোন স্থান আদৌ আছে কি এবং এই পরি কি জ্বীনের স্ত্রীলিংগ? বিভিন্ন স্থানে দেখেছি জ্বীন টানা অথবা হাজির করানো হয়, তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, মানুষের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র এমনকি ঔষধও জ্বীন দিয়ে দেয় এবং তারা যাওয়ার সময় যে কোন আলামত রেখে যায় এবং যে যা খেতে চায় সেটা দিয়ে যায় যেমন: কাচা এলাচ, বাতাসা, মিষ্টি এরকম আরও অনেক কিছু? আসলেই কি জ্বীন বা পরী বশে আনা যায়? কেউ কেউ বলে সুরা জ্বীন গভীর রাতে 7 বার পাঠ করে ঘুমালে পর দিন জ্বীন তার সাথে দেখা দেয়।

এ রকম আরও আছে যে, সুরা জ্বীন একবারে 300 বার পাঠকরলে জ্বীনের বাদশা ঐ ব্যক্তির গোলাম হয়ে যায় এছাড়াও বিভিন্ন তাবিজের বইতে দেখা যায় বিভিন্ন আয়াত লেখা থাকে এবং সেই আয়াত মেস্ক জাফরান কস্তরি দ্বারা সাদা কপড়ে লিখে সেই কাপড় আগুনে পোরালে নাকি জ্বীন এবং পরী বশে আসতে বাধ্য। কিন্তু আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তরে আমি দেখেছি আপনারা লিখেছেন জ্বীন বা পরী বশে আনা যায় না। আমি পবিত্র কুরআনের আলোকে আপনাদের নিকট থেকে এর সদুত্তর আশা প্রার্থী।

FB_IMG_1455827070017 copy

 

 

FB_IMG_1455827066375

জ্বীনদের নাম, পরিচয় ও তাদের কাজ

১. ‘ইবলিস’ – আদম (আঃ) কে দিয়ে যেই জ্বীন আল্লাহর আনুগত্য থেকে তাকে বিচ্যুত করেছিল – তার নাম হচ্ছে ইবলিস। আল্লাহ তাকে সরাসরি আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, সে হচ্ছে প্রথম জ্বী যেমন আদম (আঃ) হচ্ছেন প্রথম মানুষ। আদম (আঃ) কে সিজদা করতে অস্বীকার করে সে আল্লাহর সামনে অহংকার প্রদর্শন করে – এই কারণে সে ‘কাফের’ হয়ে চির জাহান্নামী ও আল্লাহর অভিশপ্রাপ্ত। তার সন্তানদের কেউ ঈমানদার মুসলিম, আবার কেউবা কাফের, তাদের পিতা ইবলিসের অনুসারী। যারা কাফের জিন, তাদেরকে সাধারণভাবে ‘শয়তান’ বলা হয়। ২. ‘খানজাব’ – খানজাব হচ্ছে বিশেষ একপ্রকার জ্বীন,

 

FB_IMG_1455827070017

যারা মানুষ যখন সালাতে দাঁড়ায় তাদেরকে নানান রকম চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে নামাজ থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন করে তুলে। মুয়াত্তা মালিক :স্বলাত অধ্যায় ৩, হাদিস ১৫২ ৩. ‘ওলহান’ – এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জ্বীন যারা মানুষকে ওযুর সময় ওয়াসওয়াসা দেয়। ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ মানুষেরা ওযুতে ভুল করে বেশি। ৪. ‘ক্বারীন’ – ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী, প্রত্যেক মানুষের সাথেই শয়তান জ্বীন লেগে থাকে, সংগী হিসেবে। এরা সবসময় বান্দার অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে পাপ কাজ করতে উতসাহিত করে। ক্বুরানে আল্লাহ এদের কথা উল্লেখ করেছেন সুরাতুল ক্বাফ-(১৯-২৯) এ।FB_IMG_1455827074063

 

তথ্য সুত্র….উইকিপিডিয়া