বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশে বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় যুক্তরাজ্য

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
news-image

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন সফররত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ-বিষয়ক বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী এমপি।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ইতিমধ্যে একটি রেল সংযোগ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আশা করি, বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করবে।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রুশনারা আলী এ কথা বলেন।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই বাণিজ্যদূত বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ট ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে যুক্তরাজ্য খুশি, এবং সেটা আরো জোরদার করতে চায়।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না বরং ইউকে-বাংলাদেশ বাণিজ্য আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। বৈঠকে তাদের বলেছি, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা  চাইলে এখানো বিনিয়োগ করতে পারে। বাণিজ্যদূত জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাজ্য একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক। আমেরিকা, জার্মানির পরই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ২০০-এর বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পদ্মা সেতু থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সব  ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের চলমান বিনিয়োগ পলিসির প্রতি যুক্তরাজ্য আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য চাইলে যে কোনো একটি অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এভ্রিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) নীতিতে যুক্তরাজ্যে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেয়ে আসছে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, উভয়দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ নীতি খুবই আকর্ষণীয়, যে কোনো বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবে, প্রয়োজনে লাভসহ বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ আইন দ্বারা এ নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ খুবই নিরাপদ।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং যুগ্মসচিব (এফটিএ) মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।