আর দাবি নয়, নির্বাচনে আসুন: তোফায়েল
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। দীর্ঘ বক্তৃতায় নিজের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হবে এবং নবগঠিত নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে। সেই নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে বিএনপি নির্বাচন না করে যে ভুল করেছে, তার থেকে শিক্ষা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অংশ নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর কোনো দাবি-দাওয়া পেশ না করে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে বিএনপি অংশ নেবে।’
তোফায়েল বলেন, নির্বাচনের সময়ও বিএনপি ভালো বলেছে। হেরে যাওয়ার পর তারা এদিক-সেদিক কিছু কথা বলেছে, এটা ঠিক হয়নি। নারায়ণগঞ্জে চমৎকার একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে তোফায়েল বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন। সার্চ কমিটিতে কতগুলো নাম আসবে। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের যেকোনো দিন। এখানে আর আলাপ-আলোচনা করে লাভ নেই।
আশুলিয়ার শ্রমিক অসন্তোষকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের প্রতিবছর ১০০ টাকা এবং মাসে মাসে ১০ টাকা করে দিতে হয়। এই টাকা কে পায়? ওই শ্রমিকনেতারা। কোনো শ্রমিকনেতার ব্যাংকে অনেক টাকা আছে বলে জানা গেছে। হয়তো এই মুহূর্তে টাকা পাওয়া যাবে না। কিন্তু ব্যাংকের লেনদেনে দেখবেন কত কোটি টাকা বা ইত্যাদি ইত্যাদি।’ তিনি বলেন, ‘নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বাসায় বৈঠকে শ্রমিকনেতারা বললেন কাল থেকে কারখানা চলবে। তাঁরা সেখানে বলেছেন কিছু অদৃশ্যশক্তি পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন। আমরা বললাম, সেই অদৃশ্যশক্তি কারা? তাঁরা নাম বললেন না। পুলিশের আইজি ছিলেন, র্যাবের প্রধান ছিলেন তাঁদের বললাম অদৃশ্যশক্তিকে খুঁজে বের করেন।’
কারখানাগুলো কবে খোলা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, ‘বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করে এটা সিদ্ধান্ত হবে। একটা সমঝোতা করতে হবে। তবে এবার বিজিএমইএ তাদের কিছু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে না। এভাবে আকস্মিকভাবে দাবি আদায়ে রাস্তায় নামা হয়, তাহলে রাস্তায় বারবার নামতেই থাকবে। একটা পদ্ধতির মধ্যে আসতে হবে।’
মিট দ্য রিপোর্টার্সে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মুরসালীন নোমানী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জীবনী পাঠ করেন।