শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

মারজানের মৃত্যুতে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে না: আইজিপি

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ৭, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, নুরুল ইসলাম মারজানের মৃত্যুর কারণে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে না।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেট ভবনে ‘ইসলামিক স্টেটের উত্থানে সন্ত্রাসবাদ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মারজান উত্তর বঙ্গ ও ঢাকার আশপাশে সবগুলো হামলায় সম্পৃক্ত ছিল। কাজেই আমরা তাকে খুঁজছিলাম। গত পরশুদিন রাতে আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলাম মারজান ও সাদ্দাম ঢাকায় প্রবেশ করবে। তখন আমাদের সিটি টিম তাদের গতিপথে যায়। পরে তারা মারা গেছে।

সাদ্দাম হোসেন উত্তর বঙ্গের একজন জঙ্গি। যতগুলো ঘটনা ওই এলাকায় ঘটেছে তার সবগুলোর সঙ্গে সে সম্পৃক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলায় চার্জশিট আছে। আরো ৫টি মামলা তদন্তাধীন আছে। সেগুলোতে তার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ পেয়েছি। অবশ্যই এ দুজন নিহত হওয়ার পরে গুলশান ঘটনায় আমাদের তদন্তের অগ্রগতিতে তেমন কোনো বাধা আসবে না।’

তিনি বলেন, ‘মারজান ও সাদ্দাম যা যা ঘটনা ঘটিয়েছে আমাদের কাছে সব ধরণের তথ্য আছে। কাজেই আমাদের মামলার তদন্তে আর কোনো তথ্যের দরকার নেই। আমরা যথেষ্ট তথ্য পেয়েছি। এখন তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী বাকি কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। আমাদের দেশব্যাপী জঙ্গি বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। এটিকে আরো জোরদার করবো। আমরা যেখানে তথ্য পাব, যেখানে আমাদের ধারণা হবে সেখানে যৌথ অপারেশন চলবে।

গুলশান হামলার মামলায় মোট কতজন আসামি আছে সে বিষয়ে আমি এখন বলতে পারবো না। তবে যে ক’জন এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে তাদের অধিকাংশকেই হয় গ্রেফতার করেছি না হয় মারা গেছে। সাদ্দাম ও মারজান ছাড়াও বাকিদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আশা করি পেয়ে যাবো। জিয়াকেও আমরা সকলে মিলে খুঁজছি। আশা করছি, যে কোনো একদিন পেয়ে যাবো।’

জঙ্গিদের অর্থায়ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের টাকা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। তাদের ভাষ্যমতে, বিদেশ থেকে টাকা বিভিন্ন হাত হয়ে আসে। এ টাকা আসে মানি লন্ডারিং হয়ে আসে। দেশেও ডাকাতি, ছিনতাই করে তারা অর্থ সংগ্রহ করে। তবে কাদের মাধ্যমে টাকাটা আসছে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা যেহেতু হাইলি মটিভেটেড। তাই তারা যেখানে যায় সেখানে তাদের অনুসারী তৈরি করতে চায়। তাদের জন্য আলাদা পুনর্বাসন সেন্টার খোলা দরকার। আমি মনে করি এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। যাতে তাদেরকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়।’