শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হলি আর্টিজান অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী রাজীব গান্ধী’ গ্রেপ্তার

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদ:

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধীকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলারও অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তাঁকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মুঠোফোনে পাঠানো এক খুদে বার্তায় জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট টাঙ্গাইল থেকে রাজীবকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে ডিএমপি। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুব আলমের ভাষ্য, গতকাল রাত ১১টার দিকে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজীব গান্ধীকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এর আগে জানায়, গুলশান হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, এমন ১৭ জনকে এখন পর্যন্ত তারা চিহ্নিত করেছে। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন গত ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান। একজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

অন্য তিনজন ছিলেন রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও সাগর। রাজীব ও বাশারুজ্জামানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ছিল পুলিশ।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা এর আগে বলেন, রাজীব গুলশান হামলার জন্য বগুড়ার দুজন জঙ্গিকে নিয়োগ করেন। হামলার আগ দিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভাড়াবাসায় থেকে হামলায় যুক্ত জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধ করেন। সাগর সীমান্তের ওপার থেকে আসা অস্ত্র ঢাকায় মারজানের কাছে পৌঁছান, যা পরে হামলাকারীরা ব্যবহার করেন। হামলায় জড়িত জঙ্গি বাশারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন, মারজানের স্ত্রী প্রিয়তি ও তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুন ফাতেমা আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার হন। স্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও অনেক তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গত বছরের ১ জুলাই রাতে জঙ্গিরা গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমায় নিহত হন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা। পরদিন সকালে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে ওই রেস্তোরাঁর পাচক সাইফুল ইসলাম চৌকিদার নিহত হন। রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে আটক আরেক কর্মী জাকির হোসেন পরে হাসপাতালে মারা যান। ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট) এই হামলার দায় স্বীকার করলেও পুলিশ তা নাকচ করে দিয়েছে।