শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

পাঁচজনের জামিন, দুই মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিচার শেষ না হওয়া পাঁচ মামলায় এক যুগ ধরে বন্দী পাঁচজনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। অপর দুই মামলা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া পাঁচ ব্যক্তি হলেন রাসেল শেখ, মো. পারভেজ, মাসুদ, গারো তরুণ লিটন চাম্বুগং ও বাবু। রাজীব আর সাইদুরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেন আদালত। এই সাতজনের মধ্যে দুজন ১১ বছর, দুজন ১২ বছর ও তিনজন ১৩ বছর ধরে কারাগারে আছেন।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক যুগের বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে সাত বন্দী কারাগারে আছেন, এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে। এ প্রতিবেদন গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বেহেশতী মারজান। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই সাতজনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। পাশাপাশি মামলাগুলোর নথি তলবের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে কারাগারে থাকা সাত বন্দীকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনকে জামিন দেন আর দুই মামলা নিষ্পত্তির আদেশ দেন।

আদালতে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী বেহেশতী মারজান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।

পরে বেহেশতী মারজান প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচজনকে নিয়মিত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। অপর দুজন দুই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এদিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত জামিন না দিয়ে তাঁদের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

নথিপত্রে দেখা যায়, কাফরুল থানায় হওয়া এক অস্ত্র মামলায় ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কুষ্টিয়ার রাসেল শেখ কাশিমপুর কারাগারে আছেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাড্ডার আদর্শনগরের সাইদুর রহমান কারাগারে আছেন। ২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় হওয়া একটি হত্যা মামলায় কেরানীগঞ্জের ইমানদীপুরের রাজীব হোসেন ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। ২০০৪ সালে কোতোয়ালি থানায় করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের এক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈতলার মো. পারভেজ ওই বছরের ২ জুলাই থেকে কারাগারে আছেন। ২০০৩ সালে শ্যামপুর থানায় করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে মতিঝিলের মাসুদ কারাগারে আছেন। নেত্রকোনার গারো তরুণ লিটন চাম্বুগং উত্তরা থানায় করা এক হত্যা মামলায় ২০০৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। আর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুরের বোর্ডবাজারের বাবু কাশিমপুর কারাগারে আছেন।