শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনার পরিকল্পনা দিল্লিতে

SONALISOMOY.COM
এপ্রিল ৬, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের শেষ দিন তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া চার দিনের এই সফরে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে বলেই দুই দেশের প্রত্যাশা।

বুধবার নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুরেশ প্রভু বলেন, “বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি, আমরা এখনও কাজ করছি। তবে আমরা ১০ এপ্রিল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তাকে (শেখ হাসিনা) নাগরিক সংবর্ধনা দিতে চাই।”

১৯৯৮-২০০৪ মেয়াদে বিজেপির সরকারে সুরেশ প্রভু বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তখন বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাজেদা চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করার কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ নিয়ে নিজের অনুভূতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ভারতীয় মন্ত্রী।

“বিশ্বে আর দুটো এমন দেশ পাবেন না, যাদের মধ্যে খাবার, ভাষা, সংস্কৃতিতে এতো মিল, যতোটা আমাদের দুই দেশের মধ্যে আছে। দুই দেশের এই সম্পর্কের গভীরতা আমরা অনুভব করি।”

শেখ হাসিনার এবারের সফরে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বলেছেন, “দুই দেশের সম্পর্ক ইতোমধ্যেই সর্বোচ্চ সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এটা সবচেয়ে ইতিবাচক সম্পর্ক। এই সফর সম্পর্ককে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে।”

ভারতের রেলমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের বিস্তারিত সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা না করলেও বাংলাদেশের রেল খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে প্রস্তুত বলে জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উপকার হবে এমন যে কোনো কিছুই করতে আমরা আগ্রহী। পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় থাকলেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য স্বার্থ থাকতে হবে।

রেল খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে এই ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, “সম্পর্কের বর্তমান মাত্রায় আমরা খুশি। বাংলাদেশ কি চায় তা আমরা শুনতে চাই। তারপরই আমি বলতে পারি যে বাংলাদেশের জন্য যতটুকু সম্ভব আমরা করব।”

নতুন ঋণচুক্তির মাধ্যমে নতুন রেল কোচ কিনতে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে ভারত।

কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে এখন সপ্তাহে চার দিন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ নামে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ছয়টি রেল লাইনের মধ্যে এখন তিনটি ব্রড গেজ লাইন চালু আছে। বাকিগুলো পুনরায় চালুর কাজ চলছে এবং নতুন আরও দুটি রেল লাইন স্থাপন নিয়ে আলোচনা চলছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, সৌরশক্তি ব্যবহার করে ভারতীয় রেলওয়ে একলাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা ভারতের যে কোনো খাতের তুলনায় সর্বোচ্চ।

“বাংলাদেশ জানতে চাইলে এই অভিজ্ঞতা আমরা বিনিময় করবো। এখন পর্যন্ত রেলওয়ের ৪২ শতাংশ বিদ্যুতায়িত করেছি আমরা। অদূর ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।”