শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চোলাইমদসহ মাদক তৈরির উপকরণ ধ্বংস

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা থানার পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চেলাইমদের কারখানা ও তৈরির মালছাউনি ধ্বংস করেছে। সোমবার পুলিশ পশ্চিম বাগমারায় দিন ব্যাপি অভিযান চালিয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া ও মচমইল এলাকার চিহ্নিত স্পট হতে বিপুল পরিমান চোলাই মদ উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ চোলাইমদ ও মদ তৈরির উপকরণ সমূহ ধ্বংস করেছে।

জানা গেছে, বাগমারার মাদকের রাজধানী নামে পরিচিত মচমইল বাজার। উপজেলার বেশী ভাগ আদিবাসীর বসবাস এই বাজারের রাজবাড়ির চত্বরে। এলাকার মাদক সেবীদের বেশী ভাগ মাদক বিক্রি ও সেবনের স্থান হিসেবে পরিচিতি হওয়ায় মচমইলকে বলা হয় মাদকের রাজধানী। এছাড়া উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়ার সুইপারকলনীতে রয়েছে চোলাইমদ, তাড়ি ও গাঁজার আখড়া। প্রতি নিয়ততই ওইসব এলাকা থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোরাই ভাবে এসব নিশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন প্রতি নিয়তই চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে আটকসহ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল জরিমানা করেও কোন কাজে আসছে না। এলাকায় গত দু’ বছরে সেবনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক আটক ও ভ্রাম্যমান আদালতের ঘটনায়ও মাদক সেবন কিছুতেই থামছে না। এর আগে ওই এলাকার মচমইল ডিগ্রী কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সেকেন্দার (৫০), খোদ্দকৌড়ের গ্রামের আঃ সালাম (৩৫) ও পার মচমইল গ্রামের পাউয়ারটিলার টলি ড্রাইভারের মাসুদ হোসেন (৩২) মদ পানে মৃত্যু হয়। এই ধারাবাহিকতায় পুলিশ প্রশানের উদ্যোগে এলাকায় মাদক নিধনের অংশ হিসেবে উপজেলার হাট গাঙ্গোপাড়ার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মচমইল ও হাটগাঙ্গোপাড়ায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। হাট গাঙ্গোপাড়ার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নবাগত যোগদান ইনচার্জ হীরেন্দ্রনাথ জানান, সকালে গাঙ্গোপাড়া বাজারের সুইপারকলনী নামে পরিচিত জায়গায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সেখানে বিভিন্ন ছাউনি থেকে শতাধিক চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। এসময় ছাউনিতে চোলাইমদ তৈরির পাত্র ও উপকরণ গুলো উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে। একই ভাবে উপজেলার মচমইল আদিবাসীর বসবাস বাজারের রাজবাড়ির চত্বরে বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোলা মদ, তাড়ি ও তৈরির উপকরণাদি উদ্ধার করে তা ধ্বংস করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত একটি বৃহৎ উপজেলা। উপজেলা বড় ও ঘনবসতি হবার কারণে উপজেলায় সর্বত্রই মাদক ব্যবসায় বেসামাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন চরমপন্থী ও জে এম বি’র তৎপরতা বর্তমানে কমে গেলেও নতুন করে মাদকের মরণ ছোঁয়ায় যুবসমাজ ধংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। মদক ব্যবহারের সংখ্যা বড়ার কথা স্বীকার করে ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে বলে দাবি করেন। তিনি আরো জানান, পুর্বের অবস্থা থেকে এখন মদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কমে গেছে। এ অবস্থার উন্নতির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা চলছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।