শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

বেসিস নির্বাচনে ‘ওয়ান টিম’ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে যারা

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২২, ২০২১
news-image

নির্বাচনের হাওয়া বেসিস প্রাঙ্গনে। এই হাওয়ায় পাল তুলেছে ‘ওয়ান টিম’ নামের নৌকা। সেই নৌকার মাঝি দশ জন অভিজ্ঞ এবং আইসিটি সেক্টরে ছুটে চলা প্রাণ। সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২২-২৩ মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সমন্বয়ে দশ সদস্যের প্যানেল রূপে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে ‘ওয়ান টিম’।

‘এভরি মেম্বার ম্যাটারস’-এই স্লোগানটিকে সামনে রেখে দেশ এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আইসিটি সক্ষমতাকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এবং সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দানে পথ সুগম করা এবং বেসিসের ঐতিহ্যকে আরও সমুন্নত করতে ‘ওয়ান টিম’ প্যানেল গঠন করা হয়েছে। বেসিসের সকল সচেতন ও প্রগতিশীল সদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আর এই খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলাদের সমন্বয়ে গঠিত এই ‘ওয়ান টিম’।

‘ওয়ান টিম’ প্যানেল পরিচিত

সাধারণ ক্যাটাগরিতে

টিম ক্রিয়েটিভের রাসেল টি আহমেদ: রাসেল টি আহমেদ, আইসিটি সেক্টরের একটি পরিচিত নাম এবং মুখ। তিনি টিম ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। দেশে প্রযুক্তিখাতের কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তি এবং মেধা আছে তাদের মধ্যে তিনি একজন। রাসেল টি আহমেদ এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘ওয়ান টিম’ প্যানেলের প্রধান রাসেল টি আহমেদ বেসিসের ২০১৬-১৮ মেয়াদের ইসিতে সিনিয়র সহসভাপতি, ২০১৪-১৬ মেয়াদে সিনিয়র সহসভাপতি, ২০১৩-১৪ মেয়াদে মহাসচিব এবং ২০১২-১৩ মেয়াদে মহাসচিব ছিলেন।

গিগা টেক লিমিটেডের সামিরা জুবেরি হিমিকা : সামিরা জুবেরী হিমিকা, তিনি গিগা টেক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। আইসিটি সেক্টরে তার আছে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা। নিজের উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নানা মাত্রিক কাজের সুযোগ তৈরি করে অসংখ্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপকল্পের প্রেক্ষিতে ফিনটেক, হেলথটেক, এনএলপি এবং এমএল, আইডেন্টিটি ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেশন এবং ডিজিটাল পরিষেবার মত বিষয়ে নানান ভাবে কাজ করছেন তিনি।

স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেডের রেজওয়ানা খান : রেজওয়ানা খান, আইসিটি সেক্টরে আর কাজের অভিজ্ঞা ১৭ বছরের বেশি। তিনি স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও। রেজওয়ানা খান আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি দেড় যুগ ধরে দেশের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তৈরি করেছেন অনেক উদ্যোক্তা, পাশে দাঁড়িয়ে অনেকে উদ্যোগের। আইসিটি সেক্টরে যে কয়েকজন নারী আছেন দেশে সে তালিকাতে রেজওয়ানা খানের নাম প্রথম সারিতে। শুধু তাই নয় তিনি কাজ করছেন সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে, কাজ করছেন এআর/ভিআর এবং গেম নিয়ে। সঙ্গে ই-গর্ভমেন্স, এইচআর রির্সোস এবং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেনট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেন। আইসিটি সেক্টরে পরামর্শক হিসেবেও পরিচিত মুখ রেজওয়ানা খান। বেসিস ছাড়াও তিনি বিসিএস, ইক্যাব, বিডব্লিউআইটিসহ নানামুখী বাণিজ্যিক সামাজিক সংগঠন জড়িত।

টেকনোগ্রাম লিমিটেডের এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু : ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে আইসিটি সেক্টরে কাজ করছেন এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু। তিনি টেকনোগ্রাম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও। সফটওয়্যার, আউটসোসিং এবং বিপিওতে তিনি একজন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।

এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের আবু দাউদ খান : আবু দাউদ খান, এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি এবং সিইও। ২০ বছরের বেশি সময় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বিপিও সেক্টরের ইনভেস্টমেন্ট আইডিয়া এবং বিপিও সেক্টর নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন অক্লান্তভাবে। আইসিটি সেক্টরে স্টার্টআপ এবং ইকো সিস্টেমের চেঞ্জ মেকার হিসেবেই পরিচিতি তিনি।

চালডাল লিমিটেডের জিয়া আশরাফ : তিনি দেশ সেরা গ্রোসারি অনলাইন চালডাল ডটকমের ফাউন্ডার এবং সিইও জিয়া আশরাফ। আইসিটি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা একেবারে কম নয়। ৯ বছর ধরে অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন জিয়া আশরাফ। আইসিটি সেক্টরে তৈরি করেছেন কর্মসংস্থান, অন্যদিকে অভিজ্ঞ কর্মবাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে।

জামান আইটির জামান খান : জামান খান, যার আইসিটি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা ১৫ বছরের বেশি সময়। তবে শুধু দেশিয় মার্কেটেই নয় জামানের আছে গ্লোবাল মার্কেটের কাজেরও অভিজ্ঞতা। সেখানে ৭ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটে এক্সপার্ট এই মানুষটির আইসিটি সেক্টরে লিডারশীপ স্কিলে দারুণ। তিনি আউটসোসিং এবং সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ।

মাইন্ডল্যাবজের সুজাদুর রহমান: সুজাদুর রহমান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মাইন্ডল্যাবজ। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করছেন। আইসিটি সেক্টরে যে কয়েকজন তরুণ মেধাবী কাজ করছে তাদের মধ্যে সুজাদুর রহমান একজন।

সহযোগী বিভাগে ড্রিমার্জ ল্যাব লিমিটেডের তানভীর হোসেন খান: তানভীর হোসেন খান, ড্রিমার্জ ল্যাব লিমিটেডের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তরুণ, মেধাবী, স্বপ্নবাজ তানভীর কাজ করছেন আইসিটি সেক্টরে ১১ বছরের বেশি সময় ধরে। গ্লোবাল এবং লোকাল মার্কেটে কাজ করায় বেশ অভিজ্ঞ তানভীর হোসেন খান। এআর/ভিআর সলিউশন এক্সপার্ট হিসেবেও তিনি বেশ সুনাম করিয়েছে। প্রাপ্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও আছে তার ঝুলিতে।

অধিভুক্ত বিভাগে পাঠাও লিমিটেডের ফাহিম আহমেদ : পাঠাও লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও ফাহিম আহমেদের আইসিটি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে। বাংলাদেশ ছাড়াও কাজ করেছেন ইউএস এবং সাউথ এশিয়ায় আইসিটি সেক্টরে। স্টার্টআপ সেক্টরে নেতৃত্ব দেয়া ফাহিম আহমেদের গ্লোবাল এক্সপেরিয়েন্স থাকলে সব সময় দেশকে ভালোবেসে লোকাল মার্কেটে কাজ করার জন্য আগ্রহী ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাহী কমিটির ২০২২-২০২৩ নির্বাচন হবে ২৬ ডিসেম্বর।২ বছর মেয়াদে ১১টি পদের জন্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হ‌বে।