শরীয়তপুরে আলোচিত সামছুন্নাহার হত্যা মামলার তিন আসামীর মৃত্যুদণ্ড
এস এম জীবন রায়হান : শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ধানুকায় অালোচিত সামছুরন্নাহার তানু হত্যার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অাদালতের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় দেন ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার মধ্য চরোসুন্ধি গ্রামের আব্দুল কাদের তালুকদারের ছেলে রেজাউল করিম সুজন তালুকদার(২৪), মজিবুর রহমান পেদার ছেলে সাইফুল ইসলাম পেদা (২২), ও আব্দুল মান্নান মাদবরের ছেলে দুলাল মাদবর (২২)। এর মধ্যে রেজাউল করিম সুজন জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৮ অাগস্ট শরীয়তপুর সদর উপজেলার ধানুকা গ্রামে বিলের ভিতরে তানুকে ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ কচুরিপানার ভিতর গুম করে রাখা হয়। এ ঘটনায় ২২ অাগস্ট সুজনকে অাটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া জবানবন্দিতে বেরিয়ে অাসে এ চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা। এরপর অাটক করা হয় সাইফুল ও দুলাল মারবরকে। বর্তমানে এরা দুইজন কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭/০৮/২০১৪ ইং তারিখ বিকাল ৪ টার সময় প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।নিহত সামছুন্নাহার তানু শরীয়তপুর গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের বি.এ অনার্সে ছাত্রী ছিলেন, প্রাইভেট পড়ে বাসায় না ফেরার কারনে আত্নীয়-স্বজন নিয়ে সবাই খোঁজা খুজি করেন, খুজে না পেয়ে পালং মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করেন ডাইরী নং ৭৯১,তাং১৭/০৮/২০১৪ ইং ডাইরী করার পরে পালং মডেল থানা পুলিশ সামছুন্নাহার তানু কে উদ্ধার করার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক নাম্বার আসামী রেজাউল করিম সুজন কে আটক করে জেরা করলে সেচ্ছায় স্বীকার করেন যে সে সহ তাহার সাথে দুই নাম্বার আসামী সাইফুল ইসলাম ও তিন নাম্বার আসামী দুলাল কে নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
প্রথমে সামছুন্নাহার তানু কে নানান ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে রেখে আসামী রেজাউল করিম সুজন ধর্ষন করত,গত ১৮/০৮/২০১৪ ইং তারিখ রাত্র আনুমানিক ২টার সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী রেজাউল করিম সুজন, সাইফুল ইসলাম,ও দুলাল মাদবর মিলে ধানুকা গ্রামস্থ সাবেক এম.পি নাসির উদ্দিন কালু সরদার এর বাড়ি সংলগ্ন পিছনে পূর্ব দিকে বিভিন্ন গাছপালার বাগানের মধ্যে নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে লাশ ও অন্যান্য আলামত গুম করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববতী একটি ডোবায় কচুরী পানার মধ্যে লাশের সাথে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।