এনা রেডিমিক্সের মাধ্যমে হচ্ছে কাজ পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের উদ্বোধন
বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ গোডাউন মোড় থেকে পুঠিয়া মহাসড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্প্রসারণকরণ কাজের আরসিসি ঢালাইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভবানীগঞ্জ বাজারের গোডাউন মোড়ে রাস্তাটির আরসিসি ঢালাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রাজশাহী কাজটি বাস্তবায়ন করছেন।
২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটির ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হবে ৮ ইঞ্চি পরিমান আরসিসি ঢালাই। এর মধ্যে ভবানীগঞ্জ বাজারে ৫শত মিটার, ধোকড়াকুল বাজারে ৩শত মিটার, তাহেরপুর বাজারে ৭৫০ মিটার, ধোপাপাড়া বাজারে ৪শত মিটার, বাসুপাড়া বাজারে ৩৩০ মিটার এবং কার্তিকপাড়া বাজারে ৩৫০ মিটার। কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নওগাঁর আমিনুল হক প্রাইভেট লিঃ। আরসিসি ঢালাই কাজ করা হচ্ছে এনা গ্রুপের এনা রেডিমিক্স থেকে। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে এনা রেডিমিক্সের মাধ্যমে সঠিক ভাবে করা হচ্ছে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ।
আরসিসি ঢালাই কাজ পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুজ্জোহা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মোহাঃ আসিফ, এমপি এনামুল হকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে যানচলাচল সহ লোকজনের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি বর্তমানে এতোটাই
ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত সর্ব সাধারনের চলাচল ঝুঁকি হয়ে পড়েছিল। এমপি এনামুল হক মহান জাতীয় সংসদে পুঠিয়া থেকে বাগমারা পাকা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার সহ প্রশস্ত করনের দাবী করেন। তাঁর দাবীর প্রেক্ষিতে ২৭ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে।
পুঠিয়া হতে বাগমারার ভবানীগঞ্জ পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার এই মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা। রাস্তারটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজের মাধ্যমে দূর হতে চলেছে কোটি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার দিন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাস্তাটির কাজের উদ্বোধন করেছিলেন রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
বাগমারা থেকে পুঠিয়া রাস্তাটির কাজ শেষ হলে উপজেলাবাসীর উন্নয়নের দ্বার উন্মেচিত হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। এতে সময় এবং অর্থ দুই কম লাগবে। উন্নয়ন হবে এলাকার।