শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাস শ্রমিকের কল্যাণের নামে চাঁদা তোলা হলেও টাকা যায় নেতাদের পকেটে (ভিডিও)

SONALISOMOY.COM
আগস্ট ২৭, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রমিক কল্যাণের নামে নিয়মিত চাঁদা দিয়েও মহামারিকালে সহযোগিতা পাননি বেশির ভাগ পরিবহন শ্রমিক। কেবল গাবতলি বাস টার্মিনালে শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা জিলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন, পরিবহন মালিক ও কমিউনিটি পুলিশের নামে প্রতিদিন একশো ২০ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। প্রতিটি কোম্পানির বাসের সংখ্যা হিসেব করে কাউন্টার থেকে এই টাকা আদায় করা হয়।

পরিবহনখাতে বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। গাবতলি বাস টার্মিনালে প্রতিদিন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির নামে ৩০ টাকা, বৃহত্তর মিরপুর-মোহাম্মদপুর বাস মালিক সমিতি ২০ টাকা ও কমিউনিটি পুলিশের নামে তোলা হয় ১০ টাকা।

 

এই ৬০ টাকা ছাড়াও ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিদিন চারটি স্লিপে আদায় করে আরও ৬০ টাকা। গাবতলি আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটি ১০ টাকা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ১০ টাকা, গাবতলি বাস টার্মিনাল মালিক-শ্রমিক কমিউনিটি পুলিশ পরিচালনা কমিটি ১০ টাকা ও ঢাকা জিলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে আদায় হয় ৩০ টাকা।

টাকা তোলা হয় অভিনব পদ্ধতিতে। প্রথমে রাস্তায় চলাচলকারী প্রতিটি কোম্পানির যানবাহনের সংখ্যার হিসাব রাখা হয়। পরে সেই হিসাবে কাউন্টার থেকে চাঁদার টাকা আদায় করা হয়।

শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন চাঁদা দিলেও তাদের কল্যাণে কিছুই করে না ঢাকা জিলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন। সবাইকে চাঁদা দিতে হয়। করোনা আসাকালীন দুই পয়সার সাহায্যও পাইনাই। এমন কী কার্ডটাকেও বাতিল করে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছি।

শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিনের এর দাবি, ইউনিয়ন কেবল ৩০ টাকা চাঁদা তোলে। অথচ বাস্তবে যা ৬০ টাকা।

শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে কোনো টাকা জমা হয় না। টাকা জমা হয় আলামীনের ভাই জসীমের কাছে। আমরা চারবার ত্রাণ এনে শ্রমিকদের দিয়েছি। আবার বিভিন্ন সংস্থা থেকে ত্রাণ এনের দিয়েছি।

অভিযোগ আছে, ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের এই কমিটি, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক সংসদর পরিচয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। এই সময়ে চাঁদা আদায় হয়েছে শত কোটি টাকারও বেশি।