শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

কবর থেকে তোলা হল দিয়াজের লাশ

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
news-image

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আত্মহত‌্যা, না হত‌্যা- এ প্রশ্ন ওঠায় আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন‌্য ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

দিয়াজের মৃত‌্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন-সন্দেহ
দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন
হত্যা মামলা করলেন দিয়াজের মা
ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের লাশ তুলে পুনঃময়নাতদন্তের নির্দেশ
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‌্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবর থেকে লাশ তোলা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন সিআইডির চট্টগ্রাম জেলার এএসপি ওহিদুর রহমান।

হত‌্যার অভিযোগ এনে দিয়াজের মায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।

গত ২০ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ‌্যালয় এলাকার বাসায় দিয়াজকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তে আত্মহত‌্যার কথা উল্লেখ করা হয়, যা প্রত‌্যাখ‌্যান করে দিয়াজের পরিবার।

দিয়াজের বোন আইনজীবী জুবাইদা সারোয়ার চৌধুরী অভিযোগ করেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে ‘এক নেতার নির্দেশে’ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ‘প্রভাবিত’ করা হয়েছে।

এরপর তদন্তের দায়িত্বে আসা সিআইডি পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন জানালে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দে মঙ্গলবার তাতে সায় দেন।

এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষকদের দিয়ে তা করাতে বলে আদালত।

লাশ নিয়ে গাড়ি ঢাকার পথে রয়েছে বলে সিআইডি কর্মকর্তা ওহিদুর জানান।

দিয়াজ ইরফান চৌধুরী দিয়াজ ইরফান চৌধুরী
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‌্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। ক‌্যাম্পাসের ওই বাসায় মাসহ থাকতেন দিয়াজ। তার বাবা-মা দুজনই বিশ্ববিদ‌্যালয়ের কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‌্যালয়ে একটি নির্মাণ কাজের জন‌্য ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ‌্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল।

সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ‘ষড়যন্ত্র’ করে টিপুকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি দিয়াজের পরিবারের।

দিয়াজের মৃত‌্যুর ঘটনায় তার মা গত ২৪ নভেম্বর আদালতে হত‌্যা মামলা দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতা টিপু ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।