শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় হলে তাণ্ডব, ৬ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
news-image

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ওই ছয় ছাত্র হলেন আবদুল হামিদ বাপ্পি (ফার্মেসি চতুর্থ বর্ষ), নাসির আহমেদ রানা (ইংরেজি অষ্টম ব্যাচ), সাজ্জাদ শিহাব (ইংরেজি অষ্টম ব্যাচ), সাইফুল হক রূপু (ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স অষ্টম ব্যাচ), সাজেদুর রহমান নাইম (আইসিই দশম ব্যাচ) ও নাসির হোসেন (অর্থনীতি দশম ব্যাচ)। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ওই হলের ছাত্র।

হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা আজ রোববার প্রথম আলোকে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, গতকালের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম ওহিদুজ্জামান মৌখিকভাবে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটির দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুসারে ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা।

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রিজেন বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে অস্ত্রধারী শতাধিক বহিরাগত যুবক। তারা পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে ১৫ শিক্ষার্থীকে। চারতলা হলের বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালার কাচ, চেয়ার-টেবিল ও আসবাব ভাঙচুর করেছে তারা। এ সময় লুট করেছে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মুঠোফোন সেট ও টাকা।

হামলার শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিজয় দিবসের রাতে (গত শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলে বিশেষ খাবারের (বিরিয়ানি) ব্যবস্থা করে। খাবার পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হামিদ এবং সাজ্জাদ প্রোমেলের অনুসারীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে গতকাল দুপুরে শতাধিক বহিরাগত যুবক অস্ত্র নিয়ে হলে তাণ্ডব চালায়। হামলাকারীদের সঙ্গে হামিদের কয়েকজন অনুসারীও ছিলেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। নতুন করে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করেও দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। হামলার সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাও কাজ করেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

অভিযোগ উঠেছে, বহিরাগত যুবকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও ছিলেন। তাঁরা ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা-কর্মী।