প্রথম সেঞ্চুরিটাই ট্রিপল! নিজেকে দারুণভাবে চেনালেন করুন নায়ার
ভারতের ক্রিকেটই এর আগে ট্রিপল সেঞ্চুরি দেখেছে দুটি। শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল গাভাস্কারদের কেউ এই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেননি। ভারতের আগের দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরিই বীরেন্দর শেবাগের। নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটাকে ত্রিশতকে পরিণত করে নায়ার বসেছেন কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স ও বব সিম্পসনের পাশে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক সিম্পসন ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ৩১১ রানে। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি সোবার্স করেছিলেন ৩৬৫। ১৯৯৪ সালে ব্রায়ান লারা ভেঙে দেওয়ার আগে পর্যন্ত সেটিই ছিল টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে লারা নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে নিয়ে গিয়েছিলেন ২৭৭ রানে।
তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরি বানান নায়ার। এর আগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপ দিয়েছিলেন বিনোদ কাম্বলি ও দিলীপ সারদেশাই। ১৯৬৫ সালে দিলীপ সারদেশাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে পরিণত করেছিলেন অপরাজিত ২০০ রানে। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিনোদ কাম্বলির প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি ছিল ২২৪ রানের। সেঞ্চুরিটাকে ডাবল বানানোর পর বেশ দ্রুতই তিন শ ছুঁয়ে ফেলেন নায়ার। ১৮৫ বলে সেঞ্চুরি করেন নায়ার, পরের ১০০ রান করেন ১২১ বলে। আর ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেন ৭৫ বল। ৩২টি চার আর ৪টি ছয়ে ৩৮১ বলে অপরাজিত ৩০৩ রান করা নায়ার এই সিরিজে দলে এসেছিলেন রোহিত শর্মার চোটের কারণে।
নায়ারের ট্রিপল পূর্ণ হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দলের রান তখন ৭ উইকেটে ৭৫৯। নায়ারকে দারুণ সঙ্গত করা রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৬৭ ও রবীন্দ্র জাদেজা করেন ৫১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভার খেলে বিনা উইকেটে ১২ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনো ২৭০ রান দরকার সফরকারীদের।