শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

জ্যোতিষশাস্ত্রে সাইফ-কারিনা পুত্রের ভাগ্য

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
news-image

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের আলোচিত জুটি সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান। আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন কারিনা। শোনা যাচ্ছে, এ দম্পতির পুত্রের নাম রাখা হয়েছে তৈমুর আলী খান।

সাইফ-কারিনার সন্তানের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জ্যোতিষীদের ভবিষ্যতবাণী। সাধারণত জন্মদিন ও জন্মলগ্ন অনুযায়ী ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে, তা নিয়ে ভারতীয় ও পশ্চিমা জ্যোতিষশাস্ত্রে চর্চা হয়ে থাকে। এ দুই প্রথা অনুযায়ী সাইফ-কারিনার সন্তানের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। চলুন জেনে নেই, বলিউডের তারকা পরিবারের এই নতুন অতিথির ভবিষ্যৎ ও তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হতে পারে।

ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জন্মকুণ্ডলী তৈরি করা হয় জন্মলগ্ন অনুযায়ী।  ২০ ডিসেম্বর, মুম্বাইতে সকাল সাড়ে ৭টায় জন্মগ্রহণ করেছে সাইফ-কারিনার সন্তান। তাদের মতে, এই সন্তান সিংহ রাশির জাতক। জন্মের সময়ে আকাশে ছিল পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র। জাতক মাঙ্গলিক নয় এবং বর্তমানে শনির সাড়েসাতি দশা নেই।

জাতকের জন্মকুণ্ডলীতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে চন্দ্র ও রাহুর গ্রহণ যোগ। এই যোগের প্রভাবে জীবনে খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে আবার প্রচুর অনুগামী হতে পারে, মহাত্মা গান্ধীর মতো। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বৃহস্পতি, যা  ভালো লক্ষণ। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মক্ষেত্রে শান্তি থাকবে। অষ্টম স্থানে রয়েছে শনি। এর ভালো এবং মন্দ দুই দিকই রয়েছে। জাতক জীবন সম্পর্কে অত্যন্ত সিরিয়াস মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে এই রাশির জাতক। নবম স্থানে বুধ থাকা খুবই ভালো। কারণ এতে জাতকের বক্তৃতার শক্তি উচ্চমানের হয়ে থাকে। আবার নবম স্থানে সূর্যও রয়েছে। নবমে সূর্য থাকলে জাতক ধার্মিক ও দার্শনিক মনোভাবাপন্ন হয়।

দশম স্থানে রয়েছে শুক্র। জাতক প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন তো হবেই, পাশাপাশি অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্বভাবেরও হবে। একাদশ স্থানে রয়েছে মঙ্গল যার ফলে জাতক অত্যন্ত সম্পদশালী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন হবে। কিন্তু ওই একই স্থানে রয়েছে কেতু। তাই এই গ্রহের কিছু কুপ্রভাব তো রয়েছেই। তবে সাধারণত কেতু একাদশ স্থানে থাকলে তা অর্থ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভালো।

পশ্চিমা মতে, কারিনার সন্তান ধনু রাশির জাতক। এই রাশির জাতকেরা সাধারণত পায়ের তলায় সর্ষে নিয়ে জন্মায়। অর্থাৎ কাজের সূত্রেই হোক কিংবা নিছক বেড়ানোর উদ্দেশ্যে হোক তাদের ভাগ্যে বিদেশযাত্রা থাকেই। ধনুর জাতকেরা অত্যন্ত আমুদে, স্বাধীনচেতা ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকে। ধনুরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। তারা জীবনকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে চায়। তবে কারিনা ও সাইফের সন্তান অফিসিয়ালি ধনু হলেও আদতে  সে ধনু-মকর রাশির কার্স।

পশ্চিমা জ্যোতিষশাস্ত্রে ধনু রাশির পর্যায় হলো- ২২ নভেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর। আর মকর রাশির ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০ জানুয়ারি। ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয় ধনু-মকরের কার্স। এই কার্সটিকে বলা হয় দ্য কার্স অব প্রফেসি। এই কার্সের মাধ্যমে যাদের জন্ম, তারা একইসঙ্গে অত্যন্ত আশাবাদী এবং বাস্তববাদী। তারা যেমন বড় স্বপ্ন দেখে, পাশাপাশি সেই স্বপ্নকে সত্য করে তোলার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞও হয়ে থাকে। এরা সহজে প্রেমে পড়ে না কিন্তু প্রেমে সত্যি পড়লে, সম্পর্কে অত্যন্ত বিশ্বস্ত থাকে।

পশ্চিমা ও বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে লিপিবদ্ধ কিছু বৈশিষ্ট্য অনুসরণে এই লেখা রচিত হয়েছে। সম্পূর্ণ আনুমানিক ব্যাখ্যা এটি।