শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রোহিঙ্গাদের কথা শুনলেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
news-image

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এলপি মারসুদি।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন মারসুদি। এরপর তিনি হেলিকপ্টারে উখিয়া ত্যাগ করেন। তবে এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিকে নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। এরপর উখিয়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে বিদেশি এনজিও সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকও তাদের সঙ্গে ছিলেন। এ ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, আইওএম ও ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

দুই মন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করে তাদের ওপর করা বর্বর নির্যাতনের কথা শোনেন।

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর নির্যাতন ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি আজ বৈঠক করবেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর তাদের এই বৈঠক হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা রয়েছে । বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে। পরে রাতেই তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্ত চৌকিতে আক্রমণে কয়েকজন পুলিশ নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এখন পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন এবং ৩০ হাজারের বেশি গৃহহারা হয়েছেন। এ ছাড়া নিজেদের জীবন বাঁচাতে ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছেন বলে দাবি করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন।

এদিকে রাখাইন প্রদেশের সহিংস ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার মিয়ানমারে এক বৈঠকের আয়োজন করেছেন অং সান সু চি। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাতে বাংলাদেশে আসেন। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া কঠোর ভাষায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না এবং তারা কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধাও ভোগ করতে পারেন না।