শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু, সিইসি

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন প্রতিবারই উদ্যোগ নেয়। এবার জায়গাটা ছোট ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রচুর সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাড়ে নয় হাজারের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রার্থী ও ভোটাররা সহযোগিতা করেছেন। এর ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আজ তিনজনকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অসীম রহমতে কোনো ধরনের মারামারি হয়নি। কেউ আহত বা নিহত হননি। প্রার্থীরা আমাদের কথা দিয়েছিলেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তাঁরা সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। তাঁরা তাঁদের কথা রেখেছেন।’ তিনি আরও বলেন, জনগণের রায় যদি সবাই মেনে নেন, তাহলেই নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ থাকে না। এই নির্বাচনের মতো পরের নির্বাচনগুলোতেও সবাই যাতে জনগণের রায় মেনে নেন, এ আশা করছি।

সংবাদ ব্রিফিং অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও ইসি সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

সকাল আটটায় শুরু হওয়ার পর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের সময় তেমন কোনো অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনার খবর মেলেনি। দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেই প্রথম ভোট হলো। এর আগে সব সিটি করপোরেশনে দলনিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। এঁদের মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানের মধ্যেই মূল লড়াই হবে। ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪। সব কটি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ৩২২। এর মধ্যে দুজন বিদেশি পর্যবেক্ষক রয়েছেন বলে কমিশন থেকে জানা গেছে। দেশি ১৬টি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।