শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাসায় ঢুকে সাংসদকে গুলি করে হত্যা

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
news-image

রংপুর প্রতিনিধি:  গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে বাসায় ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বাসায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিমল চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সাংসদ মনজুরুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
ঘটনার বিষয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সাংসদের স্ত্রী ফোন করে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের ভাষ্য, আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে অজ্ঞাতনামা তিন যুবক একটি মোটরসাইকেলে করে সাংসদের সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার বাড়িতে যান। একজন মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন। বাকি দুজন সাংসদের বাড়ির বৈঠকখানায় যান। সাংসদ বৈঠকখানায় ছিলেন। এ সময় তিনটি গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এর পরপরই দুজন দ্রুত বৈঠকখানা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাংসদ মনজুরুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাংসদের ডান হাতে দুটি ও বুকের ডান পাশে একটি গুলি লাগে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুন্দরগঞ্জের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি সাংসদ মনজুরুল। তিনি জামিনে ছিলেন।
২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গোপালচরণ গ্রামের বাড়ির পাশের সড়কে চাচার সঙ্গে হাঁটতে বের হয় শিশু শাহাদাত। তখন সে সাংসদ মনজুরুলের গুলিতে আহত হয়। এই ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। ৩ অক্টোবর রাতে শাহাদাতের বাবা সাজু মিয়া হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর জখমের অভিযোগে সাংসদ মনজুরুলের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় সাংসদ তাঁর আত্মীয়ের মাধ্যমে দুইটি অস্ত্র থানায় জমা দেন। ৬ অক্টোবর রাতে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে উপজেলার উত্তর শাহবাজ গ্রামের হাফিজার রহমান মণ্ডল বাদী হয়ে সাংসদকে প্রধান আসামি করে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন। ১৪ অক্টোবর রাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে তিনি জামিন পান।