শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.১ ডিগ্রি

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদ:

রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে এ শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়। শনিবার সকালে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সূর্যের আলো ফুটে উঠলেও তাতে তাপ নেই।

রাজশাহীতে শুক্রবার দিবাগত রাতের গড় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রীর মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে। শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এদিকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা ছাড়াও দক্ষিণের কয়েকটি জেলায়  এই  শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃত রয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র আরো জানায়, দিনের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম। রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। ফলে রাতে শীত ও ঠাণ্ডা আরো বেশি অনুভূত হবে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

হিমালয় থেকে উৎসারিত একটি ঝঞা শুক্রবার রাতের মধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপর দিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশের আশংকা রয়েছে। এর ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি তীব্র আকারও নিতে পারে।

সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ: কনকনে ঠাণ্ডায় রাজশাহী অঞ্চলের জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে। খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। কাজের খোঁজে ভোরের দিকে বের হওয়া মানুষকে আগুন জ্বালিয়ে সড়কের পাশে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে। গরম কাপড় মুড়ি দিয়ে লোকজন দিনের শুরুতে বাইরে আসেন।

শীতজনিত রোগের প্রকোপ: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত অসুখ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। গত পাঁচ দিনে রামেক হাসপাতালে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে শীতজনিত কারণে ৩শ’ ৯৬জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের সংখ্যাই বেশি। তবে একই ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ও সাধারণ রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

রামেক হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সানাউল হক যুগান্তরকে জানান, হাসপাতালে শিশুদের চারটি ওয়ার্ডে মোট বেড রয়েছে ৩৫০টি। কিন্তু সবমিলিয়ে রোগী রয়েছে অন্তত ১৭ শ’ জন। আক্রান্তদের অধিকাংশ শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছে। সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে নবজাতকদের।