শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

শহীদ কামারুজ্জামানের পাশে চির নিদ্রায় জাহানারা জামান

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
news-image

রাজশাহী প্রতিনিধি:

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সহধর্মিনী জাহানারা জামানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জ পারিবারিক গোরস্থানে স্বামী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের কববের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে দুপুর আড়াইটার দিকে তার জানাযা হয়।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টরে রাজশাহী শাহ মখদুম বিমান বন্দরে নেয়া হয় জাহানারা জামানের মরদেহ। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় উপশহরের মরহুমার বড় ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বাস ভবনে। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় কাদিরগঞ্জের নিজ বাড়িতে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে তার জানায়ায় অংশ নেন মন্ত্রী-এমপিসহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ।
এদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (বরখাস্ত) মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযীম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, রাজশাহী চেম্বর অব কমার্স এন্ড্রস্টির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি প্রমূখ।
জাহানারা জামান বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৮৪ বছর বয়সে ঢাকার গুলশানে নিজের বাসায় মারা যান। জাহানারা-কামারুজ্জামানের ছয় সন্তানের মধ্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জাহানারা জামানের স্বামী এএইচএম কামারুজ্জামান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে কতিপয় উচ্চাভিলাষী বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে অপর জাতীয় তিন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সঙ্গে নিহত হন।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ তাদের স্মরণ করে চার জাতীয় নেতা হিসেবে।