মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

টিম দুর্জয় সব সদস্যের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ: কাজী জাহিদুল আলম

SONALISOMOY.COM
মার্চ ২১, ২০১৮
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক: কাজী জাহিদুল আলম, তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন এক যুগ পেরিয়ে গেছে। ২০০৬ সালে ‘স্টারহোস্ট আইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালে বেসিস সদস্য পদে নিবন্ধিত হন। বর্তমানে দেশি-বিদেশি ৪ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানকে ওয়েব হোস্টিং এবং অনলাইনভিত্তিক সেবাদাতা হিসেবে কাজ করছেন। স্টারহোস্ট এখন গুগল, অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবাও দিচ্ছে। তিনি এবারের বেসিস নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মুস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক’র প্যানেল ‘টিম দুর্জয়’ থেকে। শুরুতেই বললেন প্যানেল প্রধান মুস্তফা রফিকুল ইসলাম (ডিউক) নিয়ে।

মুস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক একজন সফল বেসিস প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবসায়ী হিসেবে ইন্ড্রাস্ট্রিতে সুনামের সাথে কাজ করছেন গত ২০ বছর ধরে। দেশের সফটওয়্যার ব্যবসার সব ধরনের সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে যিনি ভালোভাবে অবহিত। এমন একজন ব্যক্তি বেসিসের নেতৃত্বে আসলে নতুন উদ্যোগ আর তরুণদের আশার প্রতিফলন হবে সহজেই। অতীতের বেসিসকে আজকের শক্ত অবস্থানে আনতে তাঁর ভূমিকার কথা প্রতিষ্ঠাতা কিংবা জ্যেষ্ঠদের অজানা নয়। দেশি সফটওয়্যার ব্যবসায় সফল এমন একজন নিশ্চই বেসিসকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন। কারণ তিনি পরীক্ষিত। সেই সাথে সফল উদ্যোক্তা।

গুগল, ফেসবুক, আলিবাবা-এ ধরনের বিখ্যাত আইডিয়াগুলো তো তরুণদের কাছ থেকেই এসেছে। সুতরাং তরুণদের সুযোগ দেয়া ছাড়া দেশি সফটওয়্যারকে সফল শিল্পে রূপান্তর করা অসম্ভব।

আমি বেসিস সদস্য হয়েছি তা ১০ বছর হয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে কমিটিতে এসে কাজ করার। জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞ আর পরিচিতদের প্যানেলে পেয়ে আমি আশাবাদী। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল রূপান্তরে কঠিন পথ অতিক্রম করছে। তরুণেরা এখন সৃজনশীল, পরিশ্রমী আর উদ্যোমী। এমনকি উদ্যোক্তা হতেও পিছপা হন না। নিজের তরুণ সময়ে যেসব সুযোগ-সুবিধার অভাব দেখেছি এখন তা সহজলভ্য। কিন্তু সুযোগ বৈষম্য নিয়ে বেসিস সদস্যদের মধ্যে একটা অসন্তুষ্টি রয়েই গেছে। আর তা দীঘ দিনের। আমি নিজেও তাদেরই দলের। তাই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রথম কথাতেই বলতে চাই, আমি তরুণ উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চাই। আমার নিজের প্যানেল ‘টিম দুর্জয়’ প্রধান রফিকুল ইসলামও তরুণদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার আর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আমাদের নির্বাচনী বার্তা ‘উন্নয়নের ধারায় ঐক্যবদ্ধ’।

নিজের আলোচিত কাজের কথা প্রসঙ্গে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালে আইওএস ডিভাইসের জন্য বাংলায় প্রথম ই-বুক অ্যাপ তৈরি করেন। জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মেয়র আনিসুল হক এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ই-বুক প্রকাশ করে স্টারহোস্ট আইটি। বিগত বেসিস সাব-কমিটিতে কাজ করলেও খুব বেশি কিছু করার সুযোগ হয়নি।

রাজধানীর প্রতিটি এলাকাতেই তরুণ বেসিস সদস্যরা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতিদিনের কঠিন লড়াই করে যাচ্ছেন। তারা দারুণ সব আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু জীবনের প্রথম উদ্যোগ বলেই হয়তো তাদের পাশে সরেজমিনে কেউ আসছে না। আবার কঠিন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে বেসিস তাদের পাশে কতটুকু সহায়ক ভূমিকা রাখতে পেরেছে। সময় বদলেছে। তাই নেতৃত্বের ধরণও বদলাতে হবে। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির প্রধান শক্তি তারুণ্য। সদস্যরা তাদের সমস্যা জানালে বেসিস তবেই কিছু করবে, এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং বেসিসকেই দায়িত্বশীল হয়ে সদস্যদের সমস্যার নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে। শুধু বিটুবি নয়, ‘মেম্বার টু মেম্বার’ (এমটুএম) সম্পর্ক তৈরিতে কাজ করতে হবে।

যদি বেসিস সদস্যরা-ই নিজেদের সফটওয়্যার এবং উদ্ভাবনার পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলেও ছোট ছোট উদ্যোক্তা কাজ করে শেষ করতে পারবে না। গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রির দিকে তাকালে দেখবেন, একটি বড় এক্সপোর্ট প্রতিষ্ঠান কাজ এনে ছোট ছোট বা চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। ফলে সবাই মিলেই টিকে আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই করতে সুনির্দিষ্ট, সুচিন্তিত আর সুদীর্ঘ পরিকল্পনা না থাকলে লক্ষ্য পূরণের অঙ্কটা কঠিন সমীকরণ হয়ে উঠবে। তাই উন্নয়নের ধারায় ঐক্যবদ্ধ-এটাই ‘টিম দুর্জয়’ দলের প্রথম শর্ত। আর সে লক্ষ্যেই আমরা সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত প্রত্যাশা করছি।