মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

ফান্ডিং ও লোকাল ইন্ডাস্ট্রির পলিসিগত সমস্যা সমাধান করব: রফিকুল

SONALISOMOY.COM
মার্চ ২১, ২০১৮
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক: ফান্ডিং, লোকাল ইন্ডাস্ট্রিকে প্রোটেক্ট করা আর পলিসিগত এই তিনটি সমস্যা রয়েছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে। আমাদের দেশে অনেক সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেছে যা আন্তর্জাতিক অন্যান্য সফটওয়্যার থেকে এগিয়ে। তবে এই সফটওয়্যার রেখে বাইরে থেকে সফটওয়্যার নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে আমাদের দেশীয় সফটওয়্যারগুলো হুমকির সম্মুখীন। এ ছাড়া আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত সরকারের অনেক কঠিন পলিসি রয়েছে। এটি একটি বড় সমস্যা। আমার কাজ হবে এই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করা।

বেসিস নির্বাচনে তাঁর অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য আর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে রাজধানীর গুলশানে তার কার্যালয়ে নতুনসময়ের সাথে আলাপে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। ।

সোনালী সময়: বেসিস নির্বাচনে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলুন?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: বেসিসের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ হচ্ছে এবারের নির্বাচনে আমার কিছু করণীয় রয়েছে, এই তাগাদা থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ানো। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে বেড়ে ওঠার কথা, সে রকমভাবে বেড়ে ওঠেনি। এই কাজ না হওয়ার জায়গাটিতে আমি কাজ করতে পারব বলে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।বেসিস নির্বাচনে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য যারা আইসিটিতে দাঁড়াতে চায়, তাদের দাঁড়াতে সাহায্য করা। আমাদের পলিসিগত সমস্যাগুলোকে সহজ করা। মোটা দাগে যদি বলি সেটি হচ্ছে, খুব স্বল্প সময়ে, স্বল্প শর্তে বা জিরো শর্তে নতুনদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দেওয়া।

সোনালী সময়: সফটওয়্যার খাতে যেসব সমস্যা…
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: আমাদের টিমের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির স্কিল ডেভলপ (দক্ষতা বৃদ্ধি) করা। ফান্ডিংয়ের যে সমস্যা রয়ে গেছে, এটিকে ফোকাস করে যারা এগিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে তাদের সহযোগিতা করা।তিনটি সমস্যা রয়েছে। এক. ফান্ডিং, দুই. লোকাল ইন্ডাস্ট্রিকে প্রোটেক্ট করা আর সবশেষে পলিসিগত সমস্যা। আমাদের দেশে অনেক সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক অন্যান্য সফটওয়্যার থেকে এগিয়ে।

সোনালী সময়: দেশীয় মার্কেট নিয়ে কি ভাবছেন?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: বেসিসের অনেক সদস্যকে আমি প্রায়ই হতাশ দেখতে পাই। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমার কোম্পানি ২০০৮ সাল পর্যন্ত লোকসানে ছিল। সেই সময়ে আমাকে ভাবতে হতো- কীভাবে কোম্পানিতে থাকা সহযোদ্ধাদের বেতন দেব? সেই সময়ে আমি বুঝেছিলাম টাকা থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। যখন কেউ দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তার এই সাপোর্টটি প্রয়োজন। খুবই প্রয়োজন। এখন আমার মনে হয় টাকা পাওয়াটা অনেক কঠিন। দেশে এখন অনেক টাকা রয়েছে। তবে পলিসিগুলো এমনভাবে করা, যার ফলে টাকা পেতে পেতে অনেকে খেই হারিয়ে ফেলেন। বেসিস নির্বাচনে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য যারা আইসিটিতে দাঁড়াতে চায়, তাদের দাঁড়াতে সাহায্য করা।দেশিয় তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরা।