শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

শেখ হাসিনার সময়ে তিস্তা চুক্তি, ওবায়দুল কাদের

SONALISOMOY.COM
মার্চ ১৫, ২০১৭
news-image

নোয়াখালী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, তিস্তা চুক্তি এখন শেষ পর্যায়ে। নিয়মকানুন সম্পন্ন করে সময়মতো গঙ্গা চুক্তির মতো তিস্তা চুক্তিও হয়ে যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৪১ বছর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়ন কেউ করতে পারেনি। শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শুধু চুক্তির বাস্তবায়ন করেননি, সিটমহল বিনিময় চুক্তির বাস্তবায়ন এরই মধ্যে শেষ করেছেন। তাই তিস্তা চুক্তিও হয়ে যাবে। এ নিয়ে কারও দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার কারণ নেই।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে নতুন প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ অমরপুর কামরুন নাহার প্রাথমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিদ্যালয়টি কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলীর নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কামরুন নাহার নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এপ্রিলে ভারত যাচ্ছেন। তখন যদি না হয়, তারপর যেকোনো সময় হতে পারে। ভারত আর বাংলাদেশ কোনো দূরের দেশ নয়। এ নিয়ে যাঁরা পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা তো নিজেরা কিছু করতে পারেননি। এখন নেত্রীকে পদে পদে বাধা দিচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হবে প্রকাশ্যে। সমঝোতা স্মারক হবে প্রকাশ্যে। সবকিছু হবে খোলামেলা। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই।
তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে একটি দল দিশেহারা। তারা এখন হিংসার আগুনে জ্বলছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর আন্দোলনে জনগণের সমর্থন না পেয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে সরকার হটানোর চক্রান্ত করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সামনে নির্বাচন। ঘরের মধ্যে ঘর করা বন্ধ করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, শৃঙ্খলাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম জাফর উল্যাহ, কবিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুন নাহার প্রমুখ।