শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বীরত্ব গাঁথা ইতিহাসঃ এনামুল হক এমপি

SONALISOMOY.COM
মার্চ ৩১, ২০১৭
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি
মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, আমরা এখন মন্ত্রী, এমপি হতে পারলেও কখনো আর মুক্তিযোদ্ধা হতে পারব না। তাই তাঁদের গুরুত্ব অনেক। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির অহংকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। এটা বিরাট ত্যাগের ও বীরত্বগাঁথা ইতিহাস। তাই এর বীরত্ব ও গৌরবের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁদের কাছে স্বাধীনতার ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে না। এজন্য নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস পৌঁছানো ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি আজ শুক্রবার সকালে স্বাধীনতা মাস উপলক্ষে রাজশাহীর বাগমারার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার মিলন মেলা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কমাণ্ডার আলী খাজা এম এ মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল কুমার সরকার, পিপি ইব্রাহিম হোসেন।

অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মাহমুদুর রহমান রেজা, নার্গিস বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক প্রতীক দাস রানা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান টুকু, আহসান হাবিব, অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন আবুল,রিয়াজ উদ্দিন মাস্টার, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জিয়াউদ্দিন টিপু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মকবুল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক, শুভডাঙ্গার চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, মাড়িয়ার চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান, গণিপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হারুণ অর রশিদ, ঝিকড়ার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,বাসুপাড়ার সভাপতি লুৎফর রহমান, সোনাডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন রায় চৌধুরী, মাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আল মামুন, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক নয়ন, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরিয়ম বেগম, সম্পাদক কোহিনুর বেগম।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আলী খাজা এম এ মজিদ, সোলাইমান আলী, আব্দুল জব্বার, রেজাউল করিম রুবল।
অনুষ্ঠানে উপজেলার তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ তাদের সংবর্ধনাও দেন। শেষে দেশ, জাতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।