শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজশাহীর নেতারা কে কি বললেন

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দুই মেয়াদের ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম বারেরমতো রাজশাহী সফরে আসেন বৃহস্প্রতিবার। বিকেলে রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা ময়দানে নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা।

বিকেল ৩টা ৫০মিনিটে জনসভা স্থলে এসে মঞ্চের পাশে রাজশাহীর ৩৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের নাম ফলকের ভিত্তিপ্রস্তরের উন্মোচন ও উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৩টা ৫৫ মিনিটে জনসভা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন তিনি। ৪টা ৩০ মিনিটে ভাষণ শুরু করে ৪টা ৫৯ মিনিটে শেষ করেন। এ মধ্যে আজান শুরু হলে ভাষণের ২ মিনিট বিরতি দেন। জনসভায় শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেয়ার জন্য ঘোষনা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

 

 

এদিকে, জনসভার মঞ্চে প্রধান অতিথির আসনে ৪০ মিনিট বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির আসনে বসে থাকা সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কুশিল বিনিময় করেন রাজশাহীর সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি উপহার দেয়া ছাড়াও নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন দাবি ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে নিহত ও নির্যাতিতদের তালিকা পেশ করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

প্রথমেই গিয়ে কুশল বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি রাজশাহীর ৩৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা পেশ করেন। যা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন ও ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ওই তালিকা পড়ে শোনান। এছাড়াও লিটন রাজশাহীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগের নয়টি উন্নয়ন ভাবনা লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। এ সময় তিনি শহীদ নজমুল হক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সরকারি করার দাবি পেশ করেন।

১৯৫৪ সালে ৩৪ বছর বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম এসেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে সাথে নিয়ে রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে। নদী পথে নাটোরের কোথাও নৌকায় উঠে বাঘা-চারঘাটের পদ্মা নদী ধরে রাজশাহীতে এই মাঠের পাশেই নেমেছিলেন। এরকম চারটা ছবি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ সময় তিনি ছবির বর্ণনা দেন। তরুণ বয়সের পিতাকে দেখে খুশি হয়ে শেখ হাসিনা ‘চমতকার কালেকশন তোমার’ উল্লেখ্য করে সাংসদ শাহরিয়ার আলমকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাজশাহী-৪ (বাগামারা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এ সময় এনামুল হক বিএনপি-জামায়াত সরকারের মদদে জঙ্গিদের হাতে বাগমারায় নিহত ও নির্যাতিতদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। যে তালিকা প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে পড়ে শোনান।

জনসভার মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। এ সময় তিনি পবা ও মোহনপুর উপজেলার কয়েকটি উন্নয়ন ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাংসদ ও পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।