শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অভিযোগ

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার গোলাকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামে সবসার দিঘী ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কনোপাড়া গ্রামের মকছেদ আলী ৩ বছরের জন্য দিঘী ও পুকুরের মালিক ইঞ্জি. এনায়েতুল ইসলাম বিন্দুর নিকট থেকে লীজ গ্রহণ করে মাছ চাষ করে আসছিল। বিন্দুর জমির পরিমান ২৪ বিঘা সহ ময়না বাবু ও লীজ গ্রহীতা মকছেদ আলীর মামা সহ আরও কয়েকজনের জমির মালিকানা রয়েছে। দিঘীর সর্বমোট জমির পরিমান (জলকর) ৫৪ বিঘা।

গত প্রায় তনি মাস আগে ওই গ্রামের জেএমবি ক্যাডার মান্নান ও তার ছেলে সাদ্দাম ও ইসমাইল ও তার ছেলে হিটলার লীজ গ্রহিতা মকছেদ আলীর নিকট ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। মকছেদ আলী টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময় দিঘী ও পুকুরে একই সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় কোটি টাকার মাছ নিধন করে। এ ঘটনায় মকছেদ আলী বাদী হয়ে জেএমবি ক্যাডার মান্নান,ইসমাইল,আজাহার,ডাবলু ও সর্বহারা ক্যাডার নজবুল,আক্কাচ আলী মাষ্টার ওরফে সর্বহারার মাষ্টার সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মামলা দায়ের পর থেকে একের পর এক মকছেদ আলীর ও তার লোক জনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাড়ী-ঘর ভাংচুর সহ নানা বেআইনী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে মান্নান ও তার ক্যাডাররা। সবসার দিঘী ও পুকুরে জেএমবি ক্যাডার মান্নানের কোন জমি নেই। তারপরও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে এলাকা বাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছে মান্নান ও ইসমাইল, চান গং।

জানা যায়, উপজেলার গোলাকান্দি ইউনিয়নটি এক সময় সর্বহারা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। ওই সময় সর্বহারাদের হাতে অনেক নিরীহ ব্যক্তি মারা পড়ে। সর্বহারার নাম ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ২০০৪ সালে সর্বহারা দমনের নামে ওই এলাকায় বাংলা ভাই এর আগমন ঘটে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সর্বহারা খুনিরা বাংলা ভাই এর জেএমবি দলে যোগ দিয়ে সর্বহারা স্টাইলে এলাকায় পুনরায় খুন চাঁদাবাজি দখল বাজি সহ নানা বেআইনী কর্মকান্ড শুরু করে।

পরে র‌্যাব মাঠে নামার পর বাংলা ভাই সহ তার ক্যাডার বাহিনী অত্মগোপনে চলে যায়।

বাংলা ভাই এর অভিযানের সময় মান্নান, ইসমাইল, আজাহার ও ডাবলু বাংলা ভাই এর দলে যোগ দিয়ে কনো পাড়া গ্রামের মুকুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। খুন চাঁদা বাজি সহ একাধিক মামলা রয়েছে জেএমবি ক্যাডার মান্নান, ইসমাইল, ডাবলু ও বিএনপি ক্যাডার চাঁন এবং সাইদুর গংদের বিরুদ্ধে।

এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ও সোমবার রাতে জেএমবি ক্যাডার মান্নান ও তার লোক জনেরা মকছেদ আলীর লোকজনের বাড়ী-ঘর ভাংচুরসহ মারপিঠের ঘটনা ঘটায়। দিঘী ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনার পর থেকে এলাকায় শান্তি শৃংখলা রক্ষায় পুলিশের সার্বক্ষনিক টহল অব্যহত রয়েছে।

এ ব্যাপরে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিরোধ পূর্ন কনোপাড়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ অপরাধ সংগঠিত করে পার পাবে না। নিরপেক্ষ থেকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকা শান্তি স্থাপনে তৎপর রয়েছে।