শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘স্মৃতি স্মরণে সুধা মিয়া’ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

SONALISOMOY.COM
মে ১১, ২০২১
news-image

একজন বিনয়ী, সাহসী, আত্মপ্রত্যয়ী ও স্বপ্নদ্রষ্টা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ৯ মে, ২০২১ রাত ১০টায় ফজলুল হক হল, ছাত্রলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ওয়েবিনার ‘স্মৃতি স্মরণে সুধা মিয়া’।

শুরুতেই সুধা মিয়ার সম্মানে মানপত্র পাঠ করেন ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান। ছাত্র সুধা মিয়াকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ড. শাহ্‌ মো. মাসুম, অধ্যাপক, ফলিত রসায়ন বিভাগ, প্রাধ্যক্ষ, ফজলুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপক ড. মমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, আবাসিক শিক্ষক, ফজলুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্যক্তি সুধা মিয়াকে নিয়ে আলোকপাত করেন প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ভাতিজা ড. এ এফ এম মিজানুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক শক্তি ও জ্বালানী বিভাগ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।

রাজনীতিবিদ ও স্বপ্নদ্রষ্টা সুধা মিয়া বিষয়ে বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‌’আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। আজকের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তারই স্বপ্নের বাস্তবায়ন। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ন্যায় ক্ষমতার খুব কাছে থেকেও সুধা মিয়া ছিলেন নির্মোহ।’

সুধা মিয়ার চোখে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে আলোকপাত কালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জ্ঞানী হতে পারি, পণ্ডিত হতে পারি কিন্তু ওয়াজেদ ভাইয়ের মত একজন পূর্নাঙ্গ মানুষ হতে পারব না, পারিনি। বঙ্গবন্ধুর জামাতা কিংবা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবে নয়, বরঞ্চ বিজ্ঞান চর্চায় তার অবদানকে সম্মান করে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম তিনি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামানুসারে নামকরণের দাবি উত্থাপন করেন।’

সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-ছাত্র বৃত্তি সম্পাদক ও ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার লেখা ‘বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ফজলুল হক মুসলিম হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়ার জন্য শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের নিকট দাবি জানিয়েছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার এবং এই দাবির প্রতি পূর্ন সমর্থন জানিয়েছিলেন স্বয়ং ফজলুল হক। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সেই দাবি কার্যকর করেন।

কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ২০০৪ সালে তাদের মদদপুষ্ট সরকারের সহায়তায় পুনরায় মুসলিম শব্দটি হলের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সমর্থ হয়। তিনি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার উত্থাপিত দাবি পুনরায় কার্যকর করার জোর দাবি জানান।

স্মৃতি স্মরণে সুধা মিয়া শীর্ষক এই আয়োজনে আলোচকবৃন্দ ‘বিজ্ঞান চর্চা করি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ি’ এই শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের ফেসবুক পেইজ থেকে। একইসঙ্গে ঠিকানা বত্রিশ পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে।